বানিয়াচং হাসপাতালে জলাতঙ্ক দিবসে প্রতিকার শীর্ষক আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে ও জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (সিডিসি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জলতাঙ্কের প্রতিকারে করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে বানিয়াচং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আবুল হাদি মোঃ শাহ পরানের সভাপতিত্বে ও আরএমও ডা. প্লুটু চক্রবর্তীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডা. আবুল হাদি মোঃ শাহ পরান বলেন, জলাতঙ্ক রোগ থেকে প্রতিকার পেতে হলে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। কুকুর, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করতে হবে। বাচ্চাদেরকে কুকুর বিড়াল থেকে দুরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কুকুরসহ যে সমস্ত প্রাণী জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় ওরা হিং¯্র নয়। তাই ওই সকল প্রাণীদের সাথে গায়ে পড়ে লাগাবাজা করা যাবেনা।
ডা. শাহ পরান আরও বলেন, কুকুরে কামড় দিলে সাথে সাথে ক্ষত স্থানটি সাবান দিয়ে ১৫ মিনিট দৌত করতে হবে। দেরী না করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভেকসিন দেওয়াতে হবে। যদি ২৪ ঘন্টায় সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। অন্যতায় রোগী মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহ পরান বলেন, কুকুরের কামড়ে ৯৯ ভাগ ঝুঁকি থাকে। আর বাকী বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণীর থেকে জলাতঙ্ক ছড়ানোর ঝুঁকি ১ ভাগ। যেহেতু আমরা জানিনা কামড় দেয়া বিড়াল কিংবা কুকুরের মধ্যে জলাতঙ্কের ভাইরাস আছে কি না, তাই ঝুঁকি না নিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়াই উত্তম।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি ভ্যাকসিন এর বোতল থেকে অন্তত ১০ জনকে এক সাথে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়। একবার খোলা হলে পুরোটাই ভেনিস হয়ে যায়। তাই জেলা সদরের হাসপাতালে বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশী পরিমান রোগী যাওয়ায় ভ্যাকসিনে সরকারের সাশ্রয় হয়। উপজেলায় একসাথে বেশী রোগী না আসায় সরকার এখনও উপজেলা সদরে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করেননি। তবে তিনি আশা করেন অদুর ভভিষ্যতে উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হবে। আসুন আমরা সকলে মিলে সচেতন হয়ে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখি এবং কুকুরকে নিশংসভাবে হত্যা না করে ওদেরকে পোষ মানিয়ে বন্ধুর মতো আচরণ করি।
অনুষ্ঠানে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ানো ও এর প্রতিকার সম্পর্কিত ভিডিও ডিসপ্লে প্রদর্শণ করে সুন্দরভাবে যুক্তি উপস্থাপন করেন ডা. খালেদ মোশারফ।
বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান, ডা, নাহিদা আফরোজ নিশি, ডা. সালাউদ্দিন সজীব, ডা. সুপ্তা বর্ধণ, হাসপাতাল সেবা কমিটির সদস্য সাংবাদিক এস এম খোকন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জীবন আহমেদ লিটন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া, সাংবাদিক ইমদাদুল হোসেন খান, মখলিছ মিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহসভাপতি শেখ সফিকুল ইসলাম সফিক, সেক্রেটারী মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাংবাদিক এস এম জহিরুল ইসলাম নাসিম,হাসপাতাল অফিস সহকারী মুখলেছুর রহমান, ষ্টোর কিপার জিয়াউর রহমান সুমন, সিনিয়র নার্স অরুনা, রাশেদা প্রমুখ।