আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি। আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে সদর ইউনিয়নের বিরাট উজানপাড়ার(আসাম পাড়ার) আবু বক্কর মিয়ার পুত্র সুজন আহমেদ (২১) নামে যুবককে আটক করেছে পুলিশ ৷
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে সুজন ও তার বন্ধু মুসলিম মিয়াকে সহযোগী করে অজ্ঞাত নামা কয়েক জনের নামে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ৷
জানাযায়, সদর ইউনিয়নের বিরাট উজানপাড়া (আসামপাড়া)র বাসিন্দা আবু বক্কর মিয়ার একমাত্র পুত্র সুজন আহমেদ প্রায় বছর খানেক পুর্বে পার্শবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রামে নিজের পছন্দে বিয়ে করে ৷ বিয়ের কিছু দিন পর সুজন ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। ৫ নং শিবপাশা ইউনিয়নের সিকন্দর পুর গ্রামের মৃত,আকিম উদ্দিনের কিশোরী কন্যা স্বর্নালী আক্তারের(ছদ্মনাম) সাথে ৷ কয়েক মাসের পরিচয় প্রেমে রুপ নেয় ৷ এদিকে সুজনের প্রথম স্ত্রী ৮ মাসের অন্ত্বসত্তা হওয়ায় লম্পট সুজন প্রেমিকা স্বর্নালীর দিকে ঝুকে পড়ে ৷ এর প্রেক্ষিতে মোবাইলে যোগাযোগ করে ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহঃস্পতিবার বিকালে টমটম ভাড়া করে সুজন শিবপাশা বাজারে তার বন্ধু মুসলিম মিয়ার কাছে যায় এবং পরে মুসলিম মিয়াকে সাথে নিয়ে কিশোরী স্বর্নালী আক্তারের বাড়িতে যায় ৷ বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বর্নালীকে ধর্ষণ করে লম্প্ট সুজন ৷
বিষয়টি স্থানীয়রা আঁচ করতে পেরে হাতে নাতে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয় ৷ বিকাল সাড়ে ৫টায় শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আশরাফ আলী সুজনকে আটক করে সন্ধায় আজমিরীগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন ৷
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- কিশোরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষক সুজনকে আঠক করা হয়েছে ৷ ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য কিশেরীকে কাল হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে ৷
