
হবিগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণ করলো পিতা

নিজস্ব প্রতিনিধি – হবিগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণ করলো পিতা। বিষয়টি জানাজানির পর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ধর্ষিত ওই ১৩ বছর বয়সী মেয়েটির মা। এতে বাধা দিলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
নবীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার জিয়াপুর গ্রামের বাড়িটিতেই স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন সালাম মিয়া। পেশায় তিনি একজন সিএনজি (অটোরিক্সা) চালক। প্রায় বছর খানেক ধরেই তার ১৩ বছরের মেয়েটির শেষ ভরসাস্থল বাবা হয়েও তার সাথে অশ্লীল আচরন করে আসছিল । তার বাবা কাউকে না বলার জন্য তাকে ভয় দেখায়। প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পৌরসভা এলাকার জিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মেয়েটির মা তার মেয়েকে উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। এসময় ধর্ষিতার আহত মা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে সিলেটের ওসমানী নগর এলাকার সেফারজুতল নেছা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে লেখাপড়া করতো। ছুটি পেলেই চলে আসতো বাবার কাছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ধর্ষিতা ও তার মা জানান, সন্তানদের শেষ ভরসাস্থল ছিল তাদের বাবা। ভুক্তভোগী ওই মেয়েটিকে তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন করছিলেন। গত ১মাস আগে মেয়ের মা কে সিলেটের ওসমানীনগর বুরুঙ্গা গ্রামে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এ সুযোগে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে লম্পট স্বামী সালাম মিয়া। পরে তার বাবা কাউকে না বলার জন্য তাকে ভয় দেখায়। প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এতে মেয়েটির মা এ বিষয়টি জানতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় স্বামীর বোন পাশের বাড়ির সুপার বেগমের ঘরে তরকারি আনতে পাঠান। পরে তরকারি নিয়ে ঘরে ফিরে স্ত্রী দেখতে পান তার স্বামী সালাম মিয়া তার মেয়েকে জোরপূর্বক আবারও ধর্ষণ করেন। এসম মেয়ের মা জৈনক ওই মহিলা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে পিঠিয়ে আহত করা হয়। পরে মহিলাকে ঘরে ২দিন জিম্মি করে রাখেন স্বামী সালম মিয়া। এসব বিষয় কাউকে না বলার জন্য তাকে ও মেয়েকে ভয় দেখায় এবং প্রকাশ করলে মা-মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. অপুর্ব দাশ জানান, ১মাস আগে ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা ভালো আছে। পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। তবে ভিকটিমের মায়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত থাকায় উনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সমকাল বার্তা