শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বানিয়াচং দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকাশিত হয়েছে -

মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার, বানিয়াচং থেকে। অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো বানিয়াচং উপজেলার ৫ নং দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ।

আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় স্থানীয় চকবাজার মাদ্রাসা মাঠে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক নুরুল হক মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জের গণমানুষের নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক
ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন,প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ।
সম্মেলনে উদ্ভোধক হিসেবে উদ্ভোধন করেন বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ লুৎফুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমদ, সাবেক আহবায়ক মজিবুল হোসেন মারুফ,যুগ্ম আহবায়ক ওয়ারিশ উদ্দিন খান, ফরহাদ হোসেন বকুল, এডভোকেট আব্দুল কাদির,মহিবুর রহমান বাবলু,সালাউদ্দিন ফারুক, জেলা বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান কাজল,মহিবুল ইসলাম শাহিন,তাজুল ইসলাম ফরিদ,জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা সেচ্ছাসেবকদল সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমদ,জেলা যুবদল সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শকিকুর রহমান সেতু,বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সদস্য তানিয়া খান,এডভোকেট সামিয়ুল আহমদ খান,সাবেক ছাত্র নেতা নকিব ফজলে রকিব মাখন, বিএনপি নেতা সাদিক আহমদ,জেলা ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম কাউসার, আলামিন,যুবদল নেতা আমিরুল আখুঞ্জি, মিলন খান,উপজেলা তাতীদল আহবায়ক মওদুদ আহমেদ, উপজেলা জাসাস সভাপতি আশরাফ ফজলে হুদা লিটন, উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক মোবাশ্বির আহমেদ মজনু,সদস্য সচিব শরিফ উদ্দিন ঠাকুর, দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মশিউর রহমান, হেদায়েত উল্লা, যুবদল নেতা সোহাগ চৌধুরী প্রমূখ।

আলোচনা শেষে সভার উদ্ভোধক লুৎফুর রহমান সম্মেলনের ৫টি পদে বিজয়িদের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন। বিজয়ীরা হলেন সভাপতি শেখ ওমর ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক বাবু গোপাল চন্দ্র দাস,সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আল-আলামিন সরকার, যুগ্ন সম্পাদক মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হামদু মিয়া।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা জি কে গউছ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির নিরীহ নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে, বাংলাদেশে জনগনের সরকার নেই পুলিশ দিয়ে হাইজেক করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকার জনগনের সরকার নয়। শেখ হাসিনাসহ বর্তমান এমপিরা পদে থেকে নির্বাচন করলেন আর আমাকে পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাদ্য করলেন এ দেশে একেক জনের জন্য একেক আইন। তাইতো এখন বিচারের বাণী নিভৃতে নয় চিৎকার করে কাঁদে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জীবন বলেন মানুষ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি চাই, গণতন্ত্র আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে জনপ্রিয়তা যাছাই করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যোগ্যদের স্থান দেওয়ার মধ্য দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।নির্বাচন আন্দোলন সংগ্রামে সবাইকে একসাথে কাজ করার মধ্য দিয়ে এই সরকারকে হঠাতে হবে।